সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষাশুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর)। প্রশ্নফাঁস রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবে শিক্ষা বোর্ড এবং গোয়েন্দা সংস্থা। সুষ্ঠু পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীন এবছর জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষার্থী। ১৭৪টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা তদারকিতে শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে ১৫টি এবং প্রত্যেক জেলায় ৫টি করে ভিজিলেন্স টিম কাজ করবে। তারা কেন্দ্রগুলো এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন।বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, প্রশ্নফাঁস রোধে আন্ত:বোর্ড সভা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পৃথক সভা করেছে।আন্তবোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বছর উপজেলা সদরের বাইরে ব্যাংক কিংবা পুলিশ ফাঁড়িতে প্রশ্নপত্র রাখা হবে না। পরীক্ষা শুরুর আগে ট্রেজারী থেকে বিষয় অনুযায়ী প্রশ্নপত্র সাজিয়ে (শটিং) খামে ভরে রাখা হয়েছে। খামেগুলো ট্রেজারী কর্মকর্তার স্বাক্ষর নিয়ে কসটেপ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিনের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের খাম পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর পরীক্ষা শুরুর আগমুহূর্তে খোলা হবে।পরীক্ষা শুরুর আগ থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা বোর্ড, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক নজরদারী করবে। মুঠোফোন এবং অন্য কোন ডিভাইজের মাধ্যমে প্রশ্ন যাতে বাইরে যেতে না পারে সেদিকে সতর্ক নজরদারী থাকবে।বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, আন্ত বোর্ডের সভায় এ বছর পরীক্ষা পরিচালনা কমিটিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ১৫ সদস্যের কমিটি ভেঙ্গে ৫ সদস্যর কমিটি করা হয়েছে। জেলা শহরে জেলা প্রশাসক উপজেলা সহরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন, বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন এবং কেন্দ্র সচিব কমিটির দায়িত্ব পালন করবেন।তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু পরীক্ষা ব্যবস্থার জন্য কেবল শিক্ষা বোর্ড এবং প্রশাসন দায়িত্ব পালন করলে হবে না। এর সঙ্গে অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং গণমাধ্যমকর্মীদেরও সহযোগিতা দরকার।
Leave a Reply